আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে একদিনে করোনায় প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৫ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৯০ জনের।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২৩ কোটি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ১৩ হাজার জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৬৪ লাখের বেশি মানুষ। এখন করোনা রোগী রয়েছেন প্রায় এক কোটি ৮৬ লাখ। এদের মধ্যে ৯৮ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা গুরুতর।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩১ লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৯ জনের। করোনায় হতাহতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষের।
এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৬ জনের। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৪ জনের।
তালিকায় ২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জনের এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ২৫১ জনের। এখন করোনা রোগী রয়েছেন ১৩ হাজার ৮৮১ জন। এদের মধ্যে ১৪০৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকাদানের হার বাড়ানোর ফলে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির আভাস দিলেও এর প্রভাব এখনো রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরকদমে চলছে টিকাদান। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকা দিয়ে ফেলেছে।
টিকা দেয়ার হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে বেশিরভাগ দেশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তুলে নেয়া হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।