1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
কাহালুতে আয়বর্ধক আইজিএ প্রশিক্ষণে অবহেলিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে আগ্রহ - Uttarkon
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

কাহালুতে আয়বর্ধক আইজিএ প্রশিক্ষণে অবহেলিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে আগ্রহ

  • সম্পাদনার সময় : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩৭ বার প্রদশিত হয়েছে

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার কাহালু উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের মাধ্যমে আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আগ্রহ বাড়ছে অবহেলিত নারীদের মধ্যে। অন্যের বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষে নিয়ে সরকারি সহায়তায় এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব বয়সী নারীরা প্রতিনিয়ত ছুঁটে আসেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসে। বিশেষ করে যারা বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, যাদের সংসারে অভাব অনটন এবং নিজ পরিবারে অবহেলিত তারাই বেশী আগ্রহী হচ্ছেন এই প্রশিক্ষণের জন্য। কারণ প্রশিক্ষণের জন্য তারা কিছু টাকাও পাচ্ছেন আবার কাজ শিখে নিজেও কিছু করতে পারছেন। যারফলে সব বয়সী নারীদের মধ্যে আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সরকারি সার্বিক সহায়তায় মহিলাদের আয়বর্ধক (আইজিএ) এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম এখানে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু করা হয়। আইজিএ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে মহিলা বিষয়ক অফিসের মাধ্যমে সরকারিভাবে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। তিন মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণে দুই শিফটে আগে ৪০ জনের কোটা ছিলো। এখন সেই কোটা বাড়িয়ে ৫০ জন করা হয়েছে। আগে তিন মাসের প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য দিনে ১০০ টাকা ভাতা ছিলো। এই সেই ভাতা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। শুরুর দিকে দুই শিফটে ব্লকবাটী ও টেইলারিং এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এখন এক শিফটে ব্লকবাটী ও টেইলারিং যুক্ত করে আরেক শিফটে ফুড প্রসেসিং ট্রেড যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এপর্যন্ত ৫৪০ জন অবহেলিত নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখানে চুক্তি ভিত্তিক ২ জন প্রশিক্ষক ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নেতৃত্বে তরাই মূলত এখানকার এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন। যারা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা বাড়িতে বসেই সাংসারিক কাজকর্ম করবার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে অর্ডার পাওয়া ব্লকবাটী ও টেইলারিং কার্জকর্ম করে নিজের সংসারে আর্থিক যোগান দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ প্রশিক্ষক হিসেবে নারীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। সরকারি এই উদ্যোগ নারীদের মধ্যে খুবই সাড়া জাগিয়েছে। বর্তানে উপজেলা প্রশাসনের আবাসিক এলাকার একটি ছোট কোয়াটারে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪ টি শেলাই মেশিনে। প্রশিক্ষণার্থীর তুলনায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জায়গা কম ও শেলাই মেশিন কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে শেলাই মেশিন বাড়ানোসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জায়গা বাড়ানোর মত দিয়েছেন অনেকে। এদিকে এখানে মাত্র ৫০ জনের কোটা থাকায় প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী নারীদের মধ্যে অনেকে পাচ্ছেন না প্রশিক্ষণের সুযোগ। তিনি মাস পর পর ৫০ জনকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হলেও আগ্রহীর সংখ্যা থাকেন কয়েক শত নারীর। অনেকের মতে এখানে বড় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে প্রতি শিফটে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা বাড়ালে এই জনপদে নারীরা অন্যের বোঝা না নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারবে। এখানে আর থাকবেনা কোন অবহেলিত নারী। প্রশিক্ষক জারিন তাজ জানান, নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ ও আমাদের চাকুরী স্থায়ী করা হলে এই উপজেলার অধিকাংশ নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ তানজিমা জানান, প্রশিক্ষন দেওয়ার পর শেলাই মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলে নারীদেরকে আর অন্যের উপর ভরসা করতে হবেনা। তারা নিজেরাই উপার্জন করে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies