নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঠে মাঠে এখন আমন ধান শোভা বিস্তার করেছে। চারিদিকে শুধুই সবুজ আর সবুজ। কি চমৎকারই না লাগছে দেখতে! সবুজ ধান ক্ষেতের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে দেখলেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। চোখের পিপাসা যদিও মিটে তবুও মনের হতাশাটুকু রয়েই যায়। যতদুর দু চোখ যায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ধান ক্ষেত যেনো সবুজ বিছানা বিছিয়েছে। এমন দৃশ্যে মনটা পুলকিত হয়, শিহরণ জাগে প্রাণে। হৃদয়ে তাই সুখের স্পন্দন জাগ্রত হয়। স্বপ্নে বিভোর কৃষককূল। নিজ সন্তানের চেয়েও যেনো বেশী মায়া পড়ে গেছে ক্ষেতের ধানে। আর তাই তো যত্নে কোন কমতি নেই, নেই একদম অবহেলা। প্রতিনিয়ত মনের মাঝে চলছে স্বপ্নের দোলাচল। বাৎসরিক বাজেটও আঁকা হয়ে গেছে মনের ক্যানভাসে। যত্নে বড় করা ধান গাছগুলোর প্রতি চোখের কড়া নজর এখন কৃষক সমাজে। ভালো ফলনের আশায় বুকে স্বপ্ন বোনা কৃষককেরা ধান ক্ষেতের সাথেই থাকছে পুরোটা সময়। কোনভাবেই যেনো ক্ষতিগ্রস্থ না হয় অতি যত্নে গড়ে তোলা সাধের স্বপ্নগুলো। এখন শুধুই অপেক্ষা কবে, কখন আর কোন সময় সবুজ ধান গাছগুলো সোনালী রং ধারণ করবে? কাঙ্খিত সেই লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন সারথী সোনালী ধান বাড়ীতে আসবে, মৌ মৌ গন্ধে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত হয়ে উঠবে লালিত স্বপ্নের প্রত্যাশা পূরণে। আমন চাষাবাদ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে, যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৯২ মেট্রিকটন। তিনি আরো বলেন, আমন ক্ষেত পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে, এছাড়াও উঠান বৈঠক, কৃষক সাক্ষাত এবং পার্চিংসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে প্রান্তিক কৃষকেরা এর সুফল ভোগ করতে পারে। আমরা আশা করছি এ বছর এই উপজেলার কৃষকেরা আমন চাষে ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে লাভের মুখ দেখবে।