ঢাকা: ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণি… চলতি শিক্ষাবর্ষের কোথায় নেই ভুল! আর এই ভুল দিয়েই শেষ হতে চলছে চলতি শিক্ষাবর্ষ। ৫শোরও বেশি ভুল রয়েছে এ বছরের এনসিটিবি অনুমোদিত বইয়ে। এরইমধ্যে সংশোধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক অভিভাবক। চলতি সপ্তাহে যার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
দেশের শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় জানুয়ারিতে, শেষ হয় ডিসেম্বরে। করোনায় এ বছর ক্লাস সেভাবে না হলেও বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছিলো সরকার। তবে প্রথম থেকে একাদশ শ্রেণীর বইয়ে যে পাঁচ শতাধিক ভুল রয়েছে তা নিয়েই শেষ হচ্ছে চলতি শিক্ষাবর্ষ।
একাদশ শ্রেণির পৌরনীতি বইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে লেখা হয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অথচ দুদক একটি আইন দ্বারা গঠিত সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান।
নবম-দশম শ্রেণীর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৭৪ পৃষ্ঠায় ৯ নম্বর লাইনে আছে দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু হবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৮৭ পৃষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। একই বইয়ের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের লাইনটিও ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় নবম ও দশম শ্রেণির বইয়ে ২৯ পৃষ্ঠার বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। সেই সাথে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল ৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যের কথা উল্লেখ নেই।
এমন অসংখ্য ভুল সংশোধন করতে অনেক অভিভাবক এনসিটিবিকে চিঠি দিলেও কর্ণপাত করেনি তারা। শেষ পর্যন্ত
হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন এক অভিভাবক।
রিটকারী আইনজীবী বলছেন, তারা চান দ্রুত এই রিটের শুনানি হোক। কারন নতুন শিক্ষাবর্ষে এসব ভুল সংশোধন না হলে
আবারও শিক্ষার্থীদের হাতে ভুল বই যাবে।
চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে এ রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।