ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সত্যকে ঢাকতে সরকার এক লাখ অনলাইন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই সরকার দিনের ভোট রাতে করে, ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে না। সাংবাদিকরা যাতে সঠিক তথ্য প্রচার করতে না পারে সেজন্য এই লাখো অ্যাক্টিভিস্টের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রনেতা আনসার আলী খান জয়ের অকাল মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আজ মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। দেশের শ্রেষ্ঠ বীরদের অপমান করা হচ্ছে। আজ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন? যার সহধর্মিনী বারবার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন, তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন? জাতি আপনাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখছে। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি।’ আর প্রধানমন্ত্রীর স্বামী তার বইয়ে লিখেছেন, ‘যখন জানতে পেলাম একজন মেজর (জিয়াউর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষণা দিচ্ছে তখন আমি ও শেখ হাসিনা একসঙ্গে সেই ঘোষণা শুনলাম।’ আমার প্রশ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন, না তার স্বামী মিথ্যা বলছেন? এটা আগে ক্লিয়ার করা দরকার। এটা যদি আগে ক্লিয়ার করা হয় তবে আমার মনে হয় অন্য বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি আপনার এক বক্তব্যে বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলন হলে ঘরে বসে থাকে।’ আপনার বক্তব্য সঠিক।
কিন্তু আপনার বক্তব্য থেকে একটি শব্দ ছুটে গেছে। সেই শব্দটা হলো ‘লাল ঘরে’ বসে থাকে। ঘরের আগে ‘লাল’ শব্দটা বসবে। কারণ আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কাউকে আপনারা ঘরে থাকতে দেন না। গ্রেফতার করেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের এর আগে বলেছেন, বিএনপি শুধু আন্দোলনের বিলাস করে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বিলাস আমরা করছি? আপনি কি দেখেছেন, ছাত্রদলের এক ছেলের পায়ে গুলি করে কীভাবে পঙ্গু করা হয়েছে? আপনি কি দেখেছেন, গুলি করে একজনের পেটের একাংশ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে? আপনি কি দেখেছেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার কতো ছেলের মায়ের হাহাকার আর আর্তনাদ? তাদের বিরুদ্ধে আপনারা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে গুম, খুন করিয়েছেন।
আর সেখানে আপনি বলছেন আন্দোলনের বিলাস করছি। আসল কথা হলো এতো অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা, হামলার পরও সরকার স্বস্তি পাচ্ছে না। সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তির অগ্রযাত্রা সহ্য করতে পারছে না।
রিজভী বলেন, তারেক রহমান চাইলে লন্ডনে আরাম-আয়েশে বসবাস করতে পারতেন। কিন্তু তিনি দলকে শক্তিশালী করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করি।