আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ২৯ আগস্ট কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস নয় ত্রাণ সংস্থার এক কর্মীসহ ১০ জন নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের স্বাধীন তদন্তে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় ব্রিবতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন।
কাবুলে বিমানবন্দরে বিদেশি বাহিনী এবং আফগানদের উদ্ধারের সময় শক্তিশালী বোমা হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-কে। প্রাণ হারান একশ’ ৭০ জনের বেশি মানুষ। এরপরই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেয় মার্কিন বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, হামলাকারী ড্রোন হামলা নিহত হন।
কিন্তু এখন বেরিয়ে আসছে ভিন্ন ঘটনা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, আইএস জঙ্গি নয়, মার্কিন ড্রোন এক ত্রাণ কর্মীর ওপর আঘাত হেনেছে। নিহত ৪৩ বছর বয়সী গাড়ির চালক জেমারি আহমাদি। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ত্রাণ সংস্থার দীর্ঘদিনের কর্মী। তার গাড়িতে কোনও বিস্ফোরক দ্রব্যও পাওয়া যায়নি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন।
সেই দিনের মার্কিন ড্রোন হামলায় শুধু আহমাদিই নিহত হননি তার স্বজনরা জানিয়েছে, ওই হামলায় তাদের পরিবারের সাত শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ শিশু রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করেন, গাড়িটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বোমা বহন করা হচ্ছে এবং এটি কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থানরত মার্কিন সৈন্যদের জন্য হুমকি।
কিন্তু ভিডিও বিশ্লেষণে আহমাদিকে তার গাড়ির পেছনে পানির জার তুলতে দেখেছে, যেগুলো পরিবারের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
আহমাদি ২০০৬ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ত্রাণ ও প্রেশার গ্রুপ নিউট্রিশন এন্ড এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের (এনইআই) হয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছিলেন।
এ ঘটনা নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের স্বচ্ছ তদন্ত প্রসঙ্গ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান। সূত্র : ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট