বগুড়া : বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান একেএম আছাদুর রহমান দুলু বলেছেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংস্করণ বাঙালির নৌকা বাইচ। নদী মাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ, আয়োজন, উৎসব ও খেলাধুলা সবকিছুতেই নদী ও নৌকার সরব আনাগোনা। এ নৌকা বাইচ লোকায়ত বাংলার লোক সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে আমরা নানা রকম লোককৃষ্টি ভুলে গিয়ে জীবন যাত্রায় এনেছি অনেক পরিবর্তন ও বিবর্তন। আগের মতো আমাদের নৌকা বাইচ জমে ওঠে না। আমাদের এসব ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরা অতিব জরুরী। যুব সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে বিরত রাখতে হলে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি ও বাংলার ঐতিহ্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি নৌকা বাইচ দেখে যে ভাবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। দলবেঁধে নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে নৗকা বাইচ দেখেন। বাঙালির হারিয়ে যাওয়া এ নৌকা বাইচ একদিকে প্রবীন মানুষের মনে যেমন পুরানো স্মৃতি মনে করে দিয়েছে অন্যদিকে নবীনদের হৃদয়ে এক নতুন অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে বাঙালি জাতি যে জোয়ার এনেছিল আজ এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য লাখো দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। নৌকা বাঙালির হৃদয়ের এক অনুভূতি। আর এ কারণেই বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে শাজাহানপুর উপজেলার খাউড়া খাল নদীতে জালশুকা নারিল্ল্যা জুজখোলা নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটি। গতকাল বুধবার দিনব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা-২০২১ খোট্রাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মাস্টার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল আলম শাওন, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মিজু, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক দুদু, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি এ এস এম ফেরদৌস, মাদলা ইউপি স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম সোহাগ, নশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজিউল হক গাজি, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন দুদু, শিক্ষক মামুনুর রশিদ, শফিকুল ইসলাম হৃদয়, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, আবু বক্কর সিদ্দিক। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন নামের ২২টি নৌকা বাইচ দল অংশগ্রহন করে। শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী জালশুকার দশের দোয়া বাইচ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।